বিনোদন প্রতিবেদক: নৃত্যর জয় হোক এই শ্লোগান কে বুকে লালন করা আন্তজাতিক পুরুষ্কার প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী মোহাম্মদ দ্বীপ ২০১৮ সালে তার সংগঠন “নদী মিউজিক এন্ড ড্যান্স মিডিয়া যুক্তরাজ্য “ ২৯ এপ্রিল বিশ্ব নৃত্য দিবসে নমিতা দে মাতৃতুল্য দিদির অনুপ্রেরনায় সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় একটি বর্নাঢ্য নৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
তাদের সংগঠনই প্রথম বিলেতসহ ইউরোপের বাঙালিদের মধ্যে প্রথম বিশ্ব নৃত্য দিবস পালনের মাধ্যমে সাধারন মানুষদের কে এই দিনটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ব্যাপক সারা জাগিয়েছেন সংস্কৃতিপ্রেমীদের মাঝে।তাদের এই সংগঠন শুধু লন্ডনে নয়, ইউরোপের গন্ডি পেরিয়ে এশিয়াতে অনেক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। মোহাম্মদ দ্বীপ তাদের সংগঠনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রাদুরভাবের সময় মোট ১৩ জনকে ব্যাক্তিগতভাবে সহযোগীতা করেছেন যা নৃত্যশিল্পীদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এছাড়া ও সিলেটের বন্যা,হার্টের রোগীকে আর্থিক সহযোগীতা করেছেন(নৃত্যশিল্পী),পুজা ও ঈদ উপলক্ষ্যে অনেক নৃত্যশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।তিনি অনেকগুলো নৃত্য অনুষ্ঠানে ও আর্থিক সবযোগীতা করেছেন।তিনি সিরাজগঞ্জ ও শ্রীমগলের নৃত্য প্রতিষ্ঠান কে নৃত্য উৎসব করার জন্য তাদের পাশে ছিলেন আর্থিক সহযোগীতা সহ।ভারত, নেপাল ও থাইল্যান্ডের নৃত্য উৎসবেও তিন আর্থিক সহযোগীতাসহ কিভাবে অনুষ্ঠানটি নতুনত্ব নিয়ে কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।তিনি লন্ডন,বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের নৃত্যশিলপীদের নিয়ে একটি নৃত্য উৎসব করবেন বলে পরিকল্পনা করছেন।তিনি নৃত্য নিয়ে পড়াশুনা করছেন এমন ছাএদের পাশে আছেন ও থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
দেশের বাহিরে থেকে এমন দৃষ্টান্ত এর আগে কেহ করেছেন কি না জানা নাই। তিনি বলেন বাংলাদেশের লোকনৃত্য কে বাচিয়ে রাখার জন্য আরো কাজ করতে চান।এ জন্য তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি পুরুষ নৃত্যশিল্পী হিসেবে খুব গর্বিত অনুভব করেন।তিনি বিশ্ব নৃত্য দিবসে সব নৃত্যশিল্পীদের অহংকার ভুলে গিয়ে একসাথে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।নৃত্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম তাই সরকারী লোকজনদের কে বলবো একুশে পদক নৃত্যশিল্পীদের অধিকার। এ অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা অধিকার হরন করার সামিল।নদী মিউজিক এন্ড মিডিয়া যুক্তরাজ্যের এর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ দ্বীপ( প্রেসিডেন্ট) ও নমিতা দে( সেক্রেটারী) সবাই কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লন্ডন থেকে।